Tuesday, October 20, 2015

ইমাম বোখারি (র.)

যারা হাদিসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন, হাদিস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যারা শত শত মাইল দুর্গম পথ পদব্রজে গমন করেছিলেন, নির্ভুল হাদিসসমূহকে কষ্টিপাথরে যাচাই-বাছাই করে গ্রন্থাকারে একত্র করার মতো অসাধ্য কাজ সাধন করেছিলেন, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাধনার বিনিময়ে মুসলিম জাতি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নির্ভুল হাদিসসমূহ গ্রন্থাকারে পেয়ে সত্যের সন্ধান লাভ করতে পেরেছে ইমাম বোখারি (র.) তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। হাদিসশাস্ত্রে তাঁর পাণ্ডিত্য ও সাধনার কারণে তিনি হাদিসশাস্ত্রে ‘বিশ্ব সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। ইমাম বোখারি (র.)-এর ডাক নাম ছিল আবু আবদুল্লাহ। তাঁর আসল এবং পূর্ণ নাম হলো-আবু আবদুল্লাহ মোহামমদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইব্রাহীম ইবনে মুগীরা। তিনি ইমাম বোখারি নামেই সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন।
১৯৪ হিজরির ১৩ শাওয়াল মোতাবেক ৮১০ খ্রিষ্টাব্দে শুক্রবার, জুমার নামাজের পর বর্তমান উজবেকিস্তানের বোখারা নামক শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল ইসমাঈল। তিনিও হাদিসশাস্ত্রে পণ্ডিত ছিলেন। ইমাম বোখারির পূর্বপুরুষগণ ছিলেন অগ্নিপূজক এবং পারস্যের অধিবাসী। পূর্বপুরুষদের মধ্যে মুগীরাই প্রথম ইসলাম কবুল করেন এবং পারস্য হতে বর্তমান উজবেকিস্তানের বোখারা নামক শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। এখানেই ইমাম বোখারি (র.) জন্ম লাভ করেন। বাল্যকালেই তাঁর পিতা মারা যান এবং মাতার নিকট লালিত-পালিত হন। উল্লেখ্য যে, বাল্যাবস্থায়ই তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন; সে জন্য মাতা নিজের এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত থাকতেন এবং রাত-দিন আল্লাহর দরবারে সন্তানের মঙ্গলের জন্য দোয়া করতেন। একদিন মাতা আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে যখন ঘুমিয়ে পড়লেন; তখন মাতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি যেন বলছেন, ‘হে পুণ্যবতী মহিলা, তোমার কান্নাকাটির দরুন আল্লাহ তোমার সন্তানের চক্ষু ভালো করে দিয়েছেন।’ নিদ্রা ভঙ্গের পর তিনি দেখলেন ইমাম বোখারি (র.) এর চোখের অন্ধত্ব দূর হয়ে গেছে।
ইমাম বোখারি (র.)-এর স্মরণশক্তি ছিল অসাধারণ। তিনি ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বোখারার নিকটস্থ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি হাদিস শেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইমাম বোখারি (র.)-এর বর্ণনা থেকে জানা যায়, হাদিস শিক্ষার জন্য তিনি মক্কা, মদিনা, সিরিয়া, বসরা, মিসর, বাগদাদ, আল জামিরাত, হেজাজ, নিশাপুর এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে হাদিসের শত শত সাক্ষাৎদাতার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি এক হাজার ৮০ জন শায়খের নিকট থেকে হাদিস সংগ্রহ করে তার সনদ ও মতনসহ মুখস্থ করেন। আল্লাহপাক তাঁকে অসাধারণ মেধা ও স্মরণশক্তি দান করেছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বিবিধ গ্রন্থ রচনায় ব্যাপৃত হন এবং হাদিসের জগদ্বিখ্যাত কিতাব ‘বোখারি শরিফ’সহ বহু গ্রন্থ রচনা করেন।
‘বোখারি শরিফ’ এর আসল নামে প্রসিদ্ধ না হয়ে রচনাকারীর নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। বোখারি শরিফ কিতাবের আসল নাম হচ্ছে, ‘আল জামেউছ ছহীহুল মুসনাদু’। সংক্ষিপ্ত নাম ছহীহে বোখারি অর্থাৎ ইমাম বোখারির ছহীহ। সাধারণত সবাই একে ‘ছহীহ বোখারি’ বা ‘বোখারি শরিফ’ বলে। ছিহাহ ছিত্তার অন্যান্য কিতাবও অনুরূপভাবে রচনাকারীর নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। ইমাম বোখারি (র.) তাঁর অন্য সহপাঠীদের সাথে একদিন ওস্তাদ ইমাম ইসহাক ইবনে রাওয়াই (র.) এর নিকট হাদিস শুনছিলেন। ওস্তাদ বললেন, ‘হায়! কেউ যদি কেবল ছহীহ হাদিসগুলোকে একত্রে সাজিয়ে লিপিবদ্ধ করে দিত।’ ইমাম বোখারি (র.) বর্ণনা করেন, এরপর একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমার সামনে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) উপবিষ্ট। আমি হাতে পাখা নিয়ে তাঁর পবিত্র শরীর মোবারকে বাতাস করে মশা মাছি তাড়াচ্ছি। এরপর একজন স্বপ্নেও তা’বীর বর্ণনাকারীর নিকট স্বপ্নটি ব্যক্ত করলে তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসসমূহ হতে মিথ্যার জঞ্জালকে অপসারিত করবেন।’ ইমাম বোখারি (র.) বলেন, এরপর ছহীহ হাদিসের একটি কিতাব লেখার জন্য আমার মনে প্রেরণা জাগে এবং ‘ছহীহ বোখারি’ লিপিবদ্ধ করি।
ইমাম বোখারি (র.) মক্কা, মদিনা, বোখারা ও বসরায় বসে বোখারি শরিফ লিপিবদ্ধ করেন। এ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত যে তিনি মক্কায় হেরেম শরিফে বসে এ কিতাবের ভূমিকা লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়া মদিনায় বিশ্বনবী (সা.)-এর রওজা পাকের নিকটবর্তী স্থানে বসে অধিকাংশ হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন এবং কিতাবের পরিচ্ছেদসমূহ এখানে বসেই সাজিয়েছেন। অতঃপর মদিনার মসজিদে নববীতে বসে এর চূড়ান্ত রূপ দান করেন। ইমাম বোখারি (র.) বোখারি শরিফ লিপিবদ্ধের ক্ষেত্রে এত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন যে, প্রতিটি হাদিস লিপিবদ্ধ করার পূর্বে তিনি আল্লাহ প্রদত্ত স্বীয় ক্ষমতা, এলম ও অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রতিটি হাদিসের সনদ ও মতনকে সূক্ষ্মভাবে যাচাই-বাছাই করেছেন এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করেছেন। তিনি নিজেই লিখেছেন, ‘আমি এ কিতাবের প্রতিটি হাদিস এবং পরিচ্ছেদ লেখার পূর্বে দুরাকাত নফল নামাজ আদায় করেছি এবং দোয়া করেছি, ‘হে আল্লাহ, তুমি মহাজ্ঞানী আর আমি মূর্খ। আমার হৃদয়ে জ্ঞানের আলো জ্বেলে দাও, আমি যেন হাদিস লিপিবদ্ধ করতে পারি।’ এভাবে তিনি সুদীর্ঘ ১৬ বছর কঠোর পরিশ্রম করে তাঁর সংগৃহীত ও কণ্ঠস্থ ছয় লক্ষের অধিক হাদিস থেকে বাছাই করে তাকরারসহ ৭৩৯৩টি এবং তাকরার বাদে ২৭৬৯টি হাদিস এ কিতাবে স্থান দেন। এ সকল কারণে পবিত্র কোরআনের পরই বোখারি শরিফ নির্ভুল গ্রন্থের স্থান দখল করেছে এবং সমগ্র বিশ্বে এত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, শুধুমাত্র তাঁর নিকটই ৯০ হাজারেরও অধিক লোক এ কিতাবের হাদিসসমূহ শিক্ষা লাভ করেছেন। আজ মুসলিম বিশ্বের এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই যেখানে বোখারি শরিফ শিক্ষা দেয়া হয় না।
ইমাম বোখারি (র.) পিতার নিকট থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রচুর ধন-সম্পদ পেয়েছেন; কিন্তু তিনি তা নিজে ভোগ করেননি। তিনি তাঁর প্রায় সমস্ত ধন সম্পদই শিক্ষার্থী, দরিদ্র ও অসহায় লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছিলেন। তিনি ভোগ বিলাস পছন্দ করতেন না। সাধারণ পোশাক ও সামান্য আহারেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন। তিনি দৃঢ়ভাবে মনে করতেন যে, অতিরিক্ত ভোগ বিলাস মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি তাকওয়া (ভয়) কমিয়ে দেয়। তিনি যদি ভোগ বিলাস ও আরাম আয়েশে কাটাতেন তাহলে হাদিসশাস্ত্রে অসাধ্য সাধন করতে পারতেন কি না সন্দেহ। ইমাম বোখারি (র.)-এর অক্লান্ত পরিশ্রম, সাধনা ও অবদানের কারণেই মুসলিম জাতি আজ বোখারি শরিফের মতো একটি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ পেয়ে সত্যের সন্ধান লাভ করেছে। কথিত আছে, তিনি একাধারে ৪০ বছর পর্যন্ত রুটির সাথে কোনো তরকারি ব্যবহার করেননি। কোনো কোনো দিন তিনি মাত্র ৩/৪টি বাদাম বা খেজুর খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। এমন কি হাদিসচর্চায় ও গবেষণায় তিনি এতই নিমগ্ন থাকতেন যে, কোনো কোনো দিন খাওয়ার কথাই ভুলে যেতেন। হাদিসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের কারণেই তিনি হাদিসশাস্ত্রে ‘বিশ্ব সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন। ইমাম বোখারি (র.)-এর জনৈক ছাত্র বর্ণনা করেছেন, ‘আমি একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নে দেখলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ? উত্তরে বললাম,  ইমাম বোখারির নিকট যাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাঁকে আমার সালাম দিও।’ প্রিয় পাঠক, বিশ্বনবী (সা.) যার নিকট সালাম পৌঁছান তাঁর মর্যাদা যে কত ঊর্ধ্বে হতে পারে তা সহজেই বোধগম্য।
ইমাম বোখারি (র.)-এর বয়স যখন ৫৫ বছর তখন তিনি নিশাপুরে ছিলেন এবং সেখানে তিনি হাদিস শিক্ষা দান করতেন। ইমাম বোখারি (র.) এর নাম যখন সমগ্র মুসলিম জাহানে ছড়িয়ে পড়ে তখন নিশাপুরের এক শ্রেণীর লোক ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে। এতে তিনি নিশাপুর ত্যাগ করে মাতৃভূমি বোখারায় চলে আসেন এবং লোকদের হাদিস শিক্ষাদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায়, এ ধরাপৃষ্ঠে যুগে যুগে যত মনীষীর আগমন ঘটেছে তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই তৎকালীন জালেম সরকার ও স্বজাতি কর্তৃক নিপীড়িত ও নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁরা হাজারো লাঞ্ছনা-গঞ্জনার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন। এমন কি মাতৃভূমি ও নিজ বংশের লোকেরাও তাঁদের যথাযোগ্য সমমান দেয়নি। বিশ্বনবী হযরত মুহামমদ (সা.) নিজ বংশ কুরাইশদের বিরোধিতা ও অত্যাচারের কারণেই নিজ মাতৃভূমি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। হাদিসশাস্ত্রের ‘বিশ্ব সম্রাট’ ইমাম বোখারি (র.)ও তৎকালীন জালেম সরকারের ষড়যন্ত্র ও রোষানলে পতিত হয়েছিলেন।
ইমাম বোখারি (র.) নিজ মাতৃভূমি বোখারার জনগণের নিকট যথেষ্ট সমমান পেলেও তৎকালীন জালেম সরকার তাঁকে মাতৃভূমিতে থাকতে দেয়নি। তিনি দেশ থেকে বিতাড়িত হলেন। ইমাম বোখারি (র.) ও তাঁর রচিত ‘ছহীহ বোখারি’-এর সুনাম যখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল তখন বোখারার তৎকালীন শাসনকর্তা খালেদ বিন আহমদ ইমাম বোখারি (র.)-এর নিকট এ বলে সংবাদ পাঠালেন যে, তিনি এবং তাঁর সন্তানগণ ‘আল জামেউছ ছহীহ’ অর্থাৎ ছহীহ বোখারি অধ্যয়ন করতে ইচ্ছুক। কিন্তু তাঁরা অন্যদের সাথে ইমাম বোখারির নিকট তা অধ্যয়ন করতে রাজি নন। কাজেই ইমাম বোখারি যেন শাসনকর্তার এ সংবাদ শুনে তার সাথে দেখা করে। ইমাম বোখারি (র.) পরিষকারভাবে বলে দিলেন, লক্ষ লক্ষ গরিব শিক্ষার্থীকে উপেক্ষা করে আমি হাদিসে রাসূলকে বেইজ্জত করতে পারি না। এ এলম ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা সকলের জন্যই সমান। আমি হাদিসে রাসূলকে রাজা-বাদশাদের দরওয়াজার প্রত্যাশী বানাতে পারি না। যদি কারোর এ এলম হাসিল করার প্রকৃতই ইচ্ছা থাকে তাহলে তিনি যেন এখানে এসে তা শিক্ষা লাভ করে যান। আর যদি তিনি আমার এ ব্যবস্থা অবলম্বনে অসন্তুষ্ট হন তাহলে আমার কিছুই করার নেই।
শাসনকর্তা খালেদ বিন আহমদ ইমাম বোখারি (র.) এর উত্তর শুনে অসন্তুষ্ট হন এবং সম্পূর্ণ অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁকে মাতৃভূমি বোখারা ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। ইমাম বোখারি (র.) বোখারা ছেড়ে প্রথমে ‘বাইকান্দ’ ও পরে ‘সমরখন্দ’- এর উদ্দেশে রওনা দেন। সমরখন্দের নিকটবর্তী ‘খরতঙ্গ’ নামক গ্রামে গিয়ে জানতে পারলেন যে, ‘সমরখন্দ’- এর অধিবাসীগণ বিপদাশঙ্কায় ইমাম বোখারিকে সেখানে আশ্রয় দিতে রাজি নয়। এ সংবাদ শুনে ইমাম বোখারি (র.) অত্যন্ত দুঃখিত হন এবং তাহাজ্জুদ নামাজের পর এ বলে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ, এ বিশাল পৃথিবী আমার জন্য সংকীর্ণ হয়ে উঠেছে। তুমি আমাকে তোমার দরবারে উঠিয়ে নাও।’ আল্লাহ পাক তাঁর দোয়া কবুল করলেন এবং এর কয়েক দিনের মধ্যেই ২৫৭ হিজরি মোতাবেক ৮৭০ খ্রিষ্টাব্দের ঈদুল ফিতরের রজনীতে হাদিসশাস্ত্রের এ মহান পণ্ডিত পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে চলে যান।
তাঁর মৃত্যুর সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। ঈদের দিন জোহর নামাজের পর তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং হাজার হাজার লোক তাঁর জানাজায় শরিক হয়। সমরখন্দের অন্তর্গত ‘খরতঙ্গ’ নামক গ্রামে তাঁর সমাধি রয়েছে। ‘খরতঙ্গ’ গ্রামের অধিবাসী গালেব ইবনে জিব্রিল বর্ণনা করেছেন, ‘ইমাম বোখারি (র.) কে কবরের মধ্যে রাখা মাত্রই কবরের চতুষ্পার্শে এত সুঘ্রাণ ছড়াতে লাগল যে, বিভিন্ন দেশের লোকজন কবর জিয়ারতের জন্যে এসে তথাকার মাটি নিতে আরম্ভ করল। অবশেষে আমরা ওই কবরকে বেষ্টনী দ্বারা রক্ষা করতে বাধ্য হলাম। ওই সুঘ্রাণ দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল।’ ইমাম বোখারি (র.) আজ নেই; কিন্তু হাদিসশাস্ত্রে তিনি যে সুবিশাল গ্রন্থ ‘ছহীহ বোখারি শরিফ’ লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন তাতে মুসলিম বিশ্বে তিনি চির অমর হয়ে আছেন।

No comments:

Post a Comment